Text Practice Mode
প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর (taken by BCC) 20jul25
created Jul 21st, 09:37 by imdesus
1
264 words
40 completed
5
Rating visible after 3 or more votes
saving score / loading statistics ...
00:00
বাংলাদেশ একটি কৃষিনির্ভর দেশ। দেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে এবং আরও একটি বড় অংশ পরোক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দারিদ্র বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কৃষির ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য, যেমননদী প্রধান ভূপ্রকৃতি, উর্বর মাটি এবং মৌসুমি বৃষ্টিপাত কৃষি অনুকূল করে তুলেছে। এ কারণে ধান, গম, পাট, ডাল, সবজি ও নানা রকম ফলমূল চাষের উপযোগী পরিবেশ এখানে রয়েছে। কৃষি শুধু অর্থনীতির একটি খাত নয়, বরং এটি আমাদের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।
বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থার মূল ভিত্তি হলো ধান চাষ। বোরো, আমন ও আউশ এই তিন মৌসুমি ধান দেশের প্রধান খাদ্যশস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। ধানের পাশাপাশি গম, ভূট্টা, আলু, সরিষা, পাট, ডাল, শাকসবজি, বেগুন, টমেটো, মুলা ইত্যাদি কৃষিজ পণ্যও বহুল চাষ হয়। দক্ষিণাঞ্চলে চিংড়ি ও লবণ চাষ, উত্তরাঞ্চলে ভুট্টা ও শস্য উৎপাদন, মধ্যাঞ্চলে ফলমূল ও সবজি চাষ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন মৌসুম অনুযায়ী কৃষকরা জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন করে থাকেন, যা দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণে বিরাট অবদান রাখে।
বর্তমানে বাংলাদেশের কৃষি খাতে আধুনিক প্রযুক্তি ও বৈজ্ঞানিক চাষ পদ্ধতির ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। উন্নত জাতের বীজ, আধুনিক সেচ ব্যবস্থা, সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকেরা অধিক ফলন পাচ্ছেন। কৃষিকাজে ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার, হারভেস্টার, সিডার মেশিনের ব্যবহার সময় ও শ্রম সাশ্রয় করছে। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে কৃষকরা আবহাওয়ার পূর্বাভাস, বাজারমূল্য ও কৃষি পরামর্শ দ্রুত পাচ্ছেন। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খরা, অতিবৃষ্টি, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি দূর্যোগ কৃষির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তাছাড়া কৃষি জমি কমে যাওয়া, চাষাবাদের ব্যয় বৃদ্ধি এবং কৃষকের ন্যায্য দাম না পাওয়াও অন্যতম সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য কৃষি খাতের উন্নয়ন অত্যাবশ্যক। কৃষকদের প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ, কৃষি গবেষণাগার প্রসার, সহজ শর্তে কৃষিঋণ এবং কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থার মূল ভিত্তি হলো ধান চাষ। বোরো, আমন ও আউশ এই তিন মৌসুমি ধান দেশের প্রধান খাদ্যশস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। ধানের পাশাপাশি গম, ভূট্টা, আলু, সরিষা, পাট, ডাল, শাকসবজি, বেগুন, টমেটো, মুলা ইত্যাদি কৃষিজ পণ্যও বহুল চাষ হয়। দক্ষিণাঞ্চলে চিংড়ি ও লবণ চাষ, উত্তরাঞ্চলে ভুট্টা ও শস্য উৎপাদন, মধ্যাঞ্চলে ফলমূল ও সবজি চাষ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন মৌসুম অনুযায়ী কৃষকরা জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন করে থাকেন, যা দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণে বিরাট অবদান রাখে।
বর্তমানে বাংলাদেশের কৃষি খাতে আধুনিক প্রযুক্তি ও বৈজ্ঞানিক চাষ পদ্ধতির ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। উন্নত জাতের বীজ, আধুনিক সেচ ব্যবস্থা, সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকেরা অধিক ফলন পাচ্ছেন। কৃষিকাজে ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার, হারভেস্টার, সিডার মেশিনের ব্যবহার সময় ও শ্রম সাশ্রয় করছে। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে কৃষকরা আবহাওয়ার পূর্বাভাস, বাজারমূল্য ও কৃষি পরামর্শ দ্রুত পাচ্ছেন। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খরা, অতিবৃষ্টি, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি দূর্যোগ কৃষির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তাছাড়া কৃষি জমি কমে যাওয়া, চাষাবাদের ব্যয় বৃদ্ধি এবং কৃষকের ন্যায্য দাম না পাওয়াও অন্যতম সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য কৃষি খাতের উন্নয়ন অত্যাবশ্যক। কৃষকদের প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণ, কৃষি গবেষণাগার প্রসার, সহজ শর্তে কৃষিঋণ এবং কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে।
