eng
competition

Text Practice Mode

ব্যক্তির গড়া যে জাদুঘরে আছে কয়েক শ বছরের পুরোনো বাদ্যযন্ত্র

created Sunday May 18, 07:11 by vaijan


2


Rating

218 words
48 completed
00:00
নেত্রকোনা অঞ্চলের জারিগানের শিল্পীরা ছন্দ লয় রক্ষার্থে মেকুঁড় ব্যবহার করতেন। যদিও বিশেষ বাদ্যযন্ত্রের প্রচলিত নাম মেহুড়। লোকজ পালা দলবদ্ধ গ্রামীণ গান বা ঘেটুগানেও এই মেকুঁড় পরা হতো। এই যন্ত্রের এখন তৈরিকারক নেই, ব্যবহারও নেই। ময়মনসিংহ নগরে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তোলা এশিয়ান সংগীত জাদুঘরে প্রবেশমুখের হাতের ডান দিকে চলছে এই মেকুঁড় প্রদর্শনী।
 
লোকজ বাদ্যযন্ত্র বরাবর তৈরি হয় সহজপ্রাপ্য দ্রব্যাদি দিয়েই। লাউ, কুমড়োর খোল, মাটির হাঁড়ি, কলসি, চামড়া, বাঁশ, কাঠ ইত্যাদিই ছিল লোকজ বাদ্যযন্ত্র তৈরির প্রধান উপাদান। তবে অন্য সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ কালের বিবর্তনে ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্রের অনেকগুলোই হারিয়ে গেছে। আর টিকে থাকা বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহারও লোকসংগীতে এখন আর নেই বললেই চলে। ময়মনসিংহ নগরের টাউন হলের মোড় এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে এশিয়ান সংগীত জাদুঘর।
 
২০২০ সালে এই সংগীত জাদুঘরের যাত্রা শুরু করেন রেজাউল করিম আসলাম। তবে বিরল বাদ্যযন্ত্র সংগ্রহ শুরু করেন আরও অনেক আগে থেকেই। পুরোনো বাদ্যযন্ত্রের প্রতি আগ্রহ থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তিনি সংগ্রহ করেছেন এসব যন্ত্র। শুধু সংগ্রহ নয়, আগামী প্রজন্মের কাছে এসব যন্ত্র পরিচয় করিয়ে দিতে এবং শিল্পের বিকাশেও কাজ করছে রেজাউল করিমের এই সংগীত জাদুঘর।  এই জাদুঘরে আছে প্রায় ৬০০ বিরল দেশি বাদ্যযন্ত্র। এর মধ্যে ২০০ থেকে ৩০০ বছরের পুরোনো সারিন্দা আছে ২০টি, সরার আছে ৩০টি, মেকুঁড় আছে ৬০টি, চার ধরনের সেতার আছে ৮টি। ছাড়া এসরাজ, সারেঙ্গি, সরোদ, তানপুরা, দোতারা, একতারা, লাউয়া নানা ধরনের বাদ্যযন্ত্র।  

saving score / loading statistics ...