eng
competition

Text Practice Mode

গামছা কীভাবে বাঙালি সংস্কৃতির অনুষঙ্গ হয়ে উঠল

created Monday April 14, 06:33 by vaijan


0


Rating

203 words
22 completed
00:00
গামছার ইতিহাস বেশ পুরোনো। আজ থেকে প্রায় সোয়া পাঁচ বছর আগে ‘মনসামঙ্গল’ কাব্যে বেহুলার বিয়ের অনুষ্ঠানে গামছার উল্লেখ পাওয়া যায়। কবি নারায়ণ দেব লিখেছেন, ‘গামছা লইয়া ঔসদ লাগে মুছিবার।’ ফলে গামছা যে বাঙালির দীর্ঘকালের অনুষঙ্গ, সে বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।
 
গামছার মূল ব্যবহার গা বা দেহ মুছতে। ‘ঢাকাই মসলিন’ গ্রন্থে লেখক আবদুল করিম বলেন, গা মোছা থেকেই গামছা শব্দের উৎপত্তি। প্রাচীন বাংলা সাহিত্যে কাছলা, তঙ্গালী, খাড়, সেঁওয়ালি, উড়ান, সামষলী সাঙালি নামের গামছার উল্লেখ পাওয়া যায়। বাংলায় অতি প্রাচীনকাল থেকে দুটি জিনিস একসঙ্গে ব্যবহৃত হতো—লুঙ্গি গামছা।
 
গ্রামবাংলার দৃশ্যের সঙ্গে গামছা যেন অবিচ্ছেদ্য এক অংশ। শুধু গ্রামেই নয়, শহরে এখনো গামছার বহুল ব্যবহার আছে। নরম সুতায় হাতে বোনা গামছার কদর বাঙালির কাছে কখনোই ফুরানোর নয়। শুধু গ্রামবাংলার তাঁতিরাই নন; মণিপুরি, সাঁওতাল, চাকমা, মারমা, গারো ইত্যাদি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরাও মনের মাধুরী মিশিয়ে তৈরি করেন গামছা। এসবের ভাঁজে ভাঁজে জড়িয়ে থাকে একেকটি জনপদের সহস্র বছরের সঞ্চিত আবেগ, দক্ষতা, স্মৃতি ঐতিহ্য। এসব কেবল সুতার পর সুতা দিয়ে গাঁথা কোনো আটপৌরে কাপড় নয়; বরং পরম মমতা ভালোবাসার একেকটি স্মারক।
 
মানুষের আত্মপরিচয়ের বিধৃত রূপই হচ্ছে সংস্কৃতি। এই পরিচয়ের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত তার ইতিহাস, ঐতিহ্য জীবনযাত্রা। বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে নানা উপাদান। এসব উপাদানের মধ্যে গামছা অন্যতম। গামছাকে বলা হয় ‘সকল কাজের কাজি’।

saving score / loading statistics ...