Text Practice Mode
পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তাল জাবি, অবরুদ্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
created Feb 4th, 11:23 by mohammad Rana
0
352 words
9 completed
1
Rating visible after 3 or more votes
saving score / loading statistics ...
00:00
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বেলা ১ টা ৫০ এর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলার ভাসানী চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি বিভিন্ন হল ঘুরে লাইব্রেরি হয়ে নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থান নেন। এসময় রেজিস্ট্রার ভবনের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গতকাল শিক্ষার্থীদের অনশনের প্রেক্ষিতে পোষ্য কোটার বিষয়ে নতুন সিন্ধান্ত নেয় প্রশাসন। পরিবর্তিত সিদ্ধান্তগুলো হলো—আগে প্রতি বিভাগে সর্বোচ্চ চারজন করে মোট ১৪৮ জনের ভর্তির সুযোগ ছিল, এখন সেটা ৪০টি আসনে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। আগে পোষ্য হিসেবে সন্তান, স্ত্রী, ভাই ও বোন এ সুবিধা পেতেন, এখন শুধু সন্তানের ক্ষেত্রে এ সুবিধা পাবেন এবং একজন চাকরিজীবী একবারই এই সুবিধা ভোগ করবেন। অর্থাৎ একজন চাকরিজীবীর যদি একাধিক সন্তান থাকেন, তবুও তিনি একটি সন্তানের ক্ষেত্রেই এই সুবিধা পাবেন। আগে চাকরিজীবীরা যে বিভাগে চাকরি করতেন, সে বিভাগেও পোষ্যরা ভর্তি হতে পারতেন, এখন সে সুযোগ রাখা হয়নি।
এঘটনায় সকালে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের ‘পৌষ্য কোটা বাতিল চাই’ এই শিরোনামে লাগানো পোস্টার ছিড়ে ফেলে তারা। এসয় শিক্ষার্থীদের সাথে কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বাক-বিতাণ্ডা হয়। এরপরই বিক্ষোভ মিছিল বের প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পোষ্য কোটা বাতিলের আন্দোলনে যেহেতু কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তুলেছে তাই আমরা এখন পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিল চাই।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আন নাফি বলেন, “ আমরা নতুন বাংলাদেশে কোন ধরনের পৌষ্য কোটা দেখতে চাই। এটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক কোটা। আমরা এই কোটা জাহাঙ্গীরনগরে দেখতে চাইনা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী সৃষ্টি বলেন, যে কর্মকর্তা কর্মচারীরা আমাদের হুমকি দিতে পারে তাদের আমরা জাহাঙ্গীরনগরে চাই না। যদি প্রশাসন পোষ্য কোটা বাতিল ও যথাসময়ে জাকসু বাস্তবায়ন করতে না পারেন, তাহলে আরো একটা আন্দোলনের সূচনা হবে জাহাঙ্গীরনগর থেকে।
বিকাল চার টায় শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার জন্য উপাচার্য আসলে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন তিনি।
এই সংবাদ লিখা পর্যন্ত (৪.৪৫) প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে আটকা রয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বিষয়:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Ad
১.নগদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা বাংলাদেশ ব্যাংকের
২
৮০০ টাকা মাসিক ভাতা একটি প্রহসন: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা
৩
পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তাল জাবি, অবরুদ্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
৪
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে প্রত্যাহার ব্যক্তিই মাউশির নতুন ডিজি
৫
রোনালদোর নতুন উদযাপন এবং নিজেকে সেরা দাবি
Ad
এলাকার খবর
খুঁজুন
মঙ্গলবার বেলা ১ টা ৫০ এর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলার ভাসানী চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি বিভিন্ন হল ঘুরে লাইব্রেরি হয়ে নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থান নেন। এসময় রেজিস্ট্রার ভবনের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গতকাল শিক্ষার্থীদের অনশনের প্রেক্ষিতে পোষ্য কোটার বিষয়ে নতুন সিন্ধান্ত নেয় প্রশাসন। পরিবর্তিত সিদ্ধান্তগুলো হলো—আগে প্রতি বিভাগে সর্বোচ্চ চারজন করে মোট ১৪৮ জনের ভর্তির সুযোগ ছিল, এখন সেটা ৪০টি আসনে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। আগে পোষ্য হিসেবে সন্তান, স্ত্রী, ভাই ও বোন এ সুবিধা পেতেন, এখন শুধু সন্তানের ক্ষেত্রে এ সুবিধা পাবেন এবং একজন চাকরিজীবী একবারই এই সুবিধা ভোগ করবেন। অর্থাৎ একজন চাকরিজীবীর যদি একাধিক সন্তান থাকেন, তবুও তিনি একটি সন্তানের ক্ষেত্রেই এই সুবিধা পাবেন। আগে চাকরিজীবীরা যে বিভাগে চাকরি করতেন, সে বিভাগেও পোষ্যরা ভর্তি হতে পারতেন, এখন সে সুযোগ রাখা হয়নি।
এঘটনায় সকালে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের ‘পৌষ্য কোটা বাতিল চাই’ এই শিরোনামে লাগানো পোস্টার ছিড়ে ফেলে তারা। এসয় শিক্ষার্থীদের সাথে কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বাক-বিতাণ্ডা হয়। এরপরই বিক্ষোভ মিছিল বের প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পোষ্য কোটা বাতিলের আন্দোলনে যেহেতু কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তুলেছে তাই আমরা এখন পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিল চাই।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আন নাফি বলেন, “ আমরা নতুন বাংলাদেশে কোন ধরনের পৌষ্য কোটা দেখতে চাই। এটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক কোটা। আমরা এই কোটা জাহাঙ্গীরনগরে দেখতে চাইনা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী সৃষ্টি বলেন, যে কর্মকর্তা কর্মচারীরা আমাদের হুমকি দিতে পারে তাদের আমরা জাহাঙ্গীরনগরে চাই না। যদি প্রশাসন পোষ্য কোটা বাতিল ও যথাসময়ে জাকসু বাস্তবায়ন করতে না পারেন, তাহলে আরো একটা আন্দোলনের সূচনা হবে জাহাঙ্গীরনগর থেকে।
বিকাল চার টায় শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার জন্য উপাচার্য আসলে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন তিনি।
এই সংবাদ লিখা পর্যন্ত (৪.৪৫) প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে আটকা রয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বিষয়:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Ad
১.নগদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা বাংলাদেশ ব্যাংকের
২
৮০০ টাকা মাসিক ভাতা একটি প্রহসন: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা
৩
পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তাল জাবি, অবরুদ্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
৪
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে প্রত্যাহার ব্যক্তিই মাউশির নতুন ডিজি
৫
রোনালদোর নতুন উদযাপন এবং নিজেকে সেরা দাবি
Ad
এলাকার খবর
খুঁজুন
