eng
competition

Text Practice Mode

কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পরীক্ষা (শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর) ০৬-০৪-২২

created May 14th, 04:10 by imdesus


3


Rating

368 words
16 completed
00:00
বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা অনেক কল্পকাহিনিকেও হার মানিয়েছে। শব্দের গতির চেয়েও এখন দ্রুত বেগে চলছে বিমান। যেটিকে বলা হয় সুপারসনিক বিমান। কিন্তু তাই বলে কি মাত্র দুইঘণ্টায় চীনের সাংহাই থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পৌঁছানো সম্ভব? সিএনএন বলছে, বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে দাবি হচ্ছে তাদের তৈরি হাইপারসনিক উড়োজাহাজে করে মাত্র ঘণ্টায় ১১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার পাড়ি দেওয়া কোন ব্যাপার নয়।
 
 সাধারণত দূরত্ব পাড়ি দিতে এখনকার দ্রুতগতির উড়োজাহাজগুলোর প্রায় ১৫ ঘণ্টা লেগে যায়। বিবিসি বলছে, অনেকেরই  হয়তো চোখ এড়ায়নি পৃথিবীর প্রধান সামরিক শক্তিগুলো ইদানীং ঘন ঘন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে।  
 
 
  যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, এমনকি উত্তর কোরিয়া পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ সম্প্রতিক তাদের হাইপারসনিক অর্থাৎ শব্দের চেয়ে কয়েকগুণ দ্রুতগতিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। চীনের লক্ষ্য হচ্ছে, ২০৫০ সাল নাগাদ তাদের সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক করে যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দেয়া।
 
কারণেই দেশটি হাইপারসনিক প্রযুক্তিতে বিপুল বিনিয়োগ করছে। গত বছরের শেষ দিকে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস নানা সূত্রের বরাত দিয়ে দাবি করে, পৃথিবীর কক্ষপথে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে চীন। এমন দাবি সরাসরি নাকচ করে দেয় চীনা কর্তৃপক্ষ। জানায়, তারা আদতে পুনরায় ব্যবহার করা যায়, এমন মহাকাশযানের পরীক্ষা চালিয়েছিল।
 
সিএনএন বলছে বেইজিং ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্পেস ট্রান্সপোর্টেশন (চীনা নাম লিংকং) তিয়ানজিয়াং হাইপারসনিক মহাকাশযান তৈরির সম্ভাবনাকে বাস্তবে রুপ দিতে যাচ্ছে। তারা যাত্রীবাহী এমন এক মহাকাশযান তৈরি করতে যাচ্ছে যা প্রতি সেকেন্ডে এক মাইলের বেশি পথ পাড়ি দিতে সক্ষম হবে। বর্তমানে সবচেয়ে দ্রুতগতির মহাকাশযাত্রায় বড় সমস্যা যাত্রীদের সুরক্ষা। কিন্তু স্পেস ট্রান্সপোর্টেশন মহাকাশযানে যাত্রীদের কোনো হেলমেট ছাড়া মহাকাশে পরার উপযোগী বিশেষ পোশাক ছাড়াই সেখানে দেখানো হয়েছে। অর্থাৎ ভ্রমন হবে আরামদায়ক।
 
ওই মহাকাশযানে মোট ১২ টি আসন দেখানো হয়েছে। ডেল্টা আকৃতির মহাকাশযানটির সঙ্গে যুক্ত দুটি বিশাল আকারের রকেট যুক্ত করে এক হাইপারসনিক মহাকাশযান হিসেবে দেখিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
 
এটি মহাকাশের দিকে খাড়াভাবে উড়তে শুরু করে এবং নির্দিষ্ট উচ্চতায় পৌঁছানোর পরে তা থেকে রকেট আলাদা হয়ে যায়। এরপর ঘণ্টায় হাজার কিলোমিটার গতিতে ছুটতে থাকে। গন্তব্যে পৌঁছানোর পরে বিশেষ ব্যবস্থায় আবার খাড়াভাবে অবতরণ করে এই যান। স্পেস ট্রান্সপোর্টেশন ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, তারা ২০২৫ সালে মহাকাশে পর্যটনের উদ্ধেশ্যে পরীক্ষামূলক ফ্লাইট শুরু করবে।
 
এর বাইরে ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে নির্দিষ্ট গন্তব্যে হাইপারসনিক মহাকাশযানে করে ফ্লাইটের ব্যবস্থা করবে। তাদের এই উদ্যোগের পেছনে চীনের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকজন বিনিয়োগকারী রয়েছেন।
 
 গত বছরের আগস্টে স্পেস ট্রান্সপোর্টেশন কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার প্রাথমিক বিনিয়োগ পায়। এত সাংহাইভিত্তিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ম্যাটিক্স পার্টনার্স চায়না রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সাংহাই গুয়োশেং গ্রুপ বিনিয়োগ করেছে।  

saving score / loading statistics ...