eng
competition

Text Practice Mode

টেটা যুদ্ধের ইতিহাস

created Dec 5th 2022, 17:30 by Al Jobayer


0


Rating

430 words
0 completed
00:00
 ঢাকায় ঝগড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষ। বৃদ্ধা নিহত আহত ১০
@ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই ট্রলারের সংঘর্ষ, ২১ জনের লাশ উদ্ধার
@ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবারো 'ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা' সংঘর্ষ, আহত
 ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় 'ঘর জামাই' ডাকা নিয়ে সংঘর্ষ, ২৬ জন হাসপাতালে
 ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় 'ফেসবুক পোস্ট' নিয়ে সংঘর্ষ, পুলিশ মোতায়ন
 ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় 'ঘরজামাই' ডাকা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২৬
 ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ১৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লকডাউন ভেঙে আবারও সংঘর্ষ, আহত ২০
 ময়লা পানি' নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ!
 ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত
 ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত
 ‘ময়লা পানি’ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ!
উপরের সংবাদগুলো সম্প্রতি বিভিন্ন দৈনিক পত্র্রিকায় প্রকাশিত কয়েকটি পত্রিকার শিরোনাম যা ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে। গত বছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘটিত গণপিটুনি, থানা লুট, টেটা যুদ্ধ, ইসলামি উগ্রপন্থি রাজনৈতিক সহিংসতা, হিন্দু মন্দির আক্রমন, করোনাকালে লকডাউন অমান্য করে লাখো মানুষের জানাজা আয়োজন, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকে ঘিরে সংঘর্ষ, কোপা আমেরিকার ফুটবল ম্যাচের ফাইনাল খেলায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণহানিসহ নানান ‘তুচ্ছ’ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম’-এ (ফেসবুক ইউটিউবে) ‘ট্রল কনটেন্ট’ এর আধারে পরিণত হয়েছে। সামান্য ঘটনা থেকে জাতীয় অনেক ইস্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতি সংঘর্ষে। আধিপত্য বিস্তার তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সংঘর্ষে জড়ানো রীতিমতো ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। পান থেকে চুন খসে পড়লেই দা, লাঠি, টেঁটা, ফলা বল্লমের মতো দেশীয় মারণাস্ত্র নিয়ে সঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। যুগ যুগ ধরে চলা এসব গ্রাম্য সংঘর্ষে প্রাণ যাচ্ছে অনেকের। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সংঘর্ষ-সংঘাতের আরেক নাম। মুহূর্তে মুহূর্তে সরাইলের জনপথ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মাইকে ঘোষণা দিয়ে শুরু হয় এই সংঘর্ষ। বছরের পর বছর চলতে থাকা এই সংঘাত যেন এখন তাদের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। কারো হাত ঢাল-সুড়কি, কারো হাতে টেঁটা-বল্লম, কারো হাতে দেশীয় অস্ত্র, কারো হাতে গুলতি কিংবা লাঠিসোটা নিয়ে পরস্পরের প্রতি ধেয়ে যায়। ইট, কাটা মুলি বাঁশ, তীর-ধনুকও ব্যবহার হয় এখানে। নারীরাও মরিচের গুড়া সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে।' মৃত্যু এখানে দুধভাত। মনুষ্যত্ব এখানে দুর্লভ। আধিপত্য বিস্তার, ফল পাড়া, খড় শুকাতে দেওয়া, জায়গা নিয়ে বিরোধ, রান্নার ধোয়া অন্য বাড়িতে যাওয়া, পূর্ব শত্রুতা, সিডি-ক্যাসেট বাকিতে না দেওয়া, কানের দুল চুরি, নারী প্রেমঘটিত ঘটনার মতো তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সংঘর্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে নিজেদের পেশিশক্তি দেখানোর জন্য গ্রামের সর্দাররা দাঙ্গা লাগিয়ে রাখেন। এলাকায় যার আধিপত্য থাকে তিনি আর্থিকসহ নানা সুবিধা ভোগ করেন। এর ফলে ছোট-খাটো ঘটনাগুলোকে সংঘর্ষে রূপ দেন ওই গ্রাম্য সর্দার-মাতব্বররা। প্রতিটি সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় মামলা হয়। আর মামলা চালানোর জন্য আসামিদের কাছ থেকে তোলা হয় চাঁদা। এই চাঁদার বেশিরভাগ টাকা নিজেদের পকেটে ঢোকান সর্দাররা। একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা অসহিষ্ণু জেলা হয়ে উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া। কারণ জনগণের মধ্যে বছরের পর বছর কুসংস্কার, সংকীর্ণতা, নির্বুদ্ধিতা, কপটতা, অহমিকার চর্চাই বেশি হয়েছে। প্রশ্ন জাগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কি সত্যিই ভয়ের জনপদ?

saving score / loading statistics ...