Text Practice Mode
রাজা ও তিন কন্যা
created Nov 14th 2022, 16:59 by SalamMia
4
462 words
28 completed
0
Rating visible after 3 or more votes
00:00
রাজা ও তাঁর তিন কন্যা
অনেক অনেক দিন আগের কথা। এক ছিল রাজা। রাজার ছিল এক রানি। আর ছিল তিন কন্যা। শিমুল, বকুল ও পারুল। তিন কন্যাকে নিয়ে রাজা-রানির বেশ সুখেই দিন কাটছিল। রাজ্যেও ছিল সুখ আর শান্তি। রাজা একদিন গল্প করছিলেন। সঙ্গে ছিল রানি আর তিন কন্যা।
রাজা তাঁর কন্যাদের জিজ্ঞেস করলেন এক সহজ প্রশ্ন। কে তাঁকে কী রকম ভালোবাসে? বড় কন্যা শিমুল। সে জবাব দিল প্রথমে। বলল, ”বাবা আমি তোমাকে চিনির মতো ভালোবাসি। “রাজা একটু মুচকি হাসলেন। মেঝো কন্যা বকুল বলল, “বাবা আমি তোমাকে মিষ্টির মতো ভালোবাসি।”
রাজার মুখে আবার দেখা গেল হাসির রেখা। ছোট কন্যা পারুল। বলল, “ বাবা আমি তোমাকে নুনের মতো ভালোবাসি।” সঙ্গে সঙ্গে রাজার মুখ হয়ে গেল কালো। রানিও শুনে অবাক। এ কেমন কথা! রাজা বেশ অস্থির । ডাকলেন উজির, নাজির ও সেনাপতিকে। হুকুম দিলেন, “ছোট কন্যা পারুলকে বনবাসে দাও। তাকে গভীর জঙ্গলে ফেলে দিয়ে এসো।” রাজার হুকুম বলে কথা। না মেনে উপায় নেই। পরদিন পারুলকে পাঠানো হলো বনবাসে। গভীর অরণ্য। জন-প্রণী নেই। পারুল একা বসে আছে। এমন সময় কয়েকজন পরি এলো। পরিরা বলল, “এই বনে তুমি একা কেন?” পারুল সব ঘটনা খুলে বলল। পারুলের দুঃখের কথা পরিরা বুঝতে পারল। রাজার মেয়ে পারুলের জন্য তারা সুন্দর একটা বাড়ি তৈরি করল। পরিরা নানা ফুলের চারা এনে একটা বাগান বানাল। বনের পশুপাখি এলো রাজার মেয়েকে দেখতে। হরিণ এলো, খরগোশ এলো, ময়ূর এলো। তারাও রাজার ছোট মেয়ে পারুলের দুঃখ বুঝতে পারল। তারা পারুলের জন্য এনে দিল নানা ফলমূল। পরিরা এনে দিল মজার মজার খাবার। গভীর অরণ্যে পারুলের দিন কাটতে লাগল একা একা। মনে তার অনেক দুঃখ। মা নেই। বাবা নেই। বোনেরা নেই। একদিন রাজার খেয়াল হলো শিকারে যাবেন। রাজার খেয়াল মানে সহজ কথা নয়। উজির, নাজির, পাইক, বরকন্দাজ নিয়ে বেরোলেন শিকারে। শিকারের খোঁজে ঘুরতে ঘুরতে পৌছালেন সেই গভীর অরণ্যে। রাজা তখন খুবই ক্ষুধার্ত। সবাই দূরে দেখতে পেল একটা সুন্দর কুটির। সেই কুটিরে বাস করে এক সুন্দরী কন্যা। রাজার লোকেরা তাকে বলল, “রাজা খুব ক্ষুধার্ত। তিনি খাওয়ার ইচ্ছা জানিয়েছেন। “পারুল বলল, “আপনারা একটু জিরিয়ে নিন।” সে রান্না করল পোলাও, কোরমা ও মাংস। নানা রকমের তরকারি। কিন্তু কোনো কিছুতে একটুও নুন দিল না। এত রকমের সাজানো খাবার দেখে রাজা খুব খুশি হলেন। তাঁর জিভে এলো জল। রাজা খেতে বসলেন। খাওয়া শুরু করলেন। এটা নেন ওটা নেন। মুখে দিয়ে ফেলে দেন। সুন্দর রান্না তবে বেজায় বিস্বাদ। একটুও নুন নেই কোনো খাবারে। রাজা খুব বিরক্ত হলেন। নুন ছাড়া কি কিছু খাওয়া যায়? পারুল ছিল কাছেই। সে এগিয়ে এলো। বলল, “বাবা, আমাকে চিনতে পেরেছেন? আমার নাম পারুল। আপনার ছোট কন্যা। আপনি যাকে বনবাসে পাঠিয়েছিলেন।” রাজা নিজের ভুল বুঝতে পারলেন। নিজের আদরের মেয়েকে বুকে জরিয়ে ধরলেন। তারপর নুন দিয়ে রান্না করা হলো সব খাবার। রাজা মজা করে খেলেন। এবার ফেরার পালা। রাজা তাঁর ছোট কন্যা পারুল আর হাতিঘোড়া নিয়ে রওয়ানা হলেন। পারুল ফিরে আসায় রাজ্যে সবার মুখে হাসি ফুটল। রানি খুশি হলেন। শিমুল, বকুল তাদের বোন পারুলকে ফিরে পেল। রাজ্যে সুখের সীমা রইল না।
অনেক অনেক দিন আগের কথা। এক ছিল রাজা। রাজার ছিল এক রানি। আর ছিল তিন কন্যা। শিমুল, বকুল ও পারুল। তিন কন্যাকে নিয়ে রাজা-রানির বেশ সুখেই দিন কাটছিল। রাজ্যেও ছিল সুখ আর শান্তি। রাজা একদিন গল্প করছিলেন। সঙ্গে ছিল রানি আর তিন কন্যা।
রাজা তাঁর কন্যাদের জিজ্ঞেস করলেন এক সহজ প্রশ্ন। কে তাঁকে কী রকম ভালোবাসে? বড় কন্যা শিমুল। সে জবাব দিল প্রথমে। বলল, ”বাবা আমি তোমাকে চিনির মতো ভালোবাসি। “রাজা একটু মুচকি হাসলেন। মেঝো কন্যা বকুল বলল, “বাবা আমি তোমাকে মিষ্টির মতো ভালোবাসি।”
রাজার মুখে আবার দেখা গেল হাসির রেখা। ছোট কন্যা পারুল। বলল, “ বাবা আমি তোমাকে নুনের মতো ভালোবাসি।” সঙ্গে সঙ্গে রাজার মুখ হয়ে গেল কালো। রানিও শুনে অবাক। এ কেমন কথা! রাজা বেশ অস্থির । ডাকলেন উজির, নাজির ও সেনাপতিকে। হুকুম দিলেন, “ছোট কন্যা পারুলকে বনবাসে দাও। তাকে গভীর জঙ্গলে ফেলে দিয়ে এসো।” রাজার হুকুম বলে কথা। না মেনে উপায় নেই। পরদিন পারুলকে পাঠানো হলো বনবাসে। গভীর অরণ্য। জন-প্রণী নেই। পারুল একা বসে আছে। এমন সময় কয়েকজন পরি এলো। পরিরা বলল, “এই বনে তুমি একা কেন?” পারুল সব ঘটনা খুলে বলল। পারুলের দুঃখের কথা পরিরা বুঝতে পারল। রাজার মেয়ে পারুলের জন্য তারা সুন্দর একটা বাড়ি তৈরি করল। পরিরা নানা ফুলের চারা এনে একটা বাগান বানাল। বনের পশুপাখি এলো রাজার মেয়েকে দেখতে। হরিণ এলো, খরগোশ এলো, ময়ূর এলো। তারাও রাজার ছোট মেয়ে পারুলের দুঃখ বুঝতে পারল। তারা পারুলের জন্য এনে দিল নানা ফলমূল। পরিরা এনে দিল মজার মজার খাবার। গভীর অরণ্যে পারুলের দিন কাটতে লাগল একা একা। মনে তার অনেক দুঃখ। মা নেই। বাবা নেই। বোনেরা নেই। একদিন রাজার খেয়াল হলো শিকারে যাবেন। রাজার খেয়াল মানে সহজ কথা নয়। উজির, নাজির, পাইক, বরকন্দাজ নিয়ে বেরোলেন শিকারে। শিকারের খোঁজে ঘুরতে ঘুরতে পৌছালেন সেই গভীর অরণ্যে। রাজা তখন খুবই ক্ষুধার্ত। সবাই দূরে দেখতে পেল একটা সুন্দর কুটির। সেই কুটিরে বাস করে এক সুন্দরী কন্যা। রাজার লোকেরা তাকে বলল, “রাজা খুব ক্ষুধার্ত। তিনি খাওয়ার ইচ্ছা জানিয়েছেন। “পারুল বলল, “আপনারা একটু জিরিয়ে নিন।” সে রান্না করল পোলাও, কোরমা ও মাংস। নানা রকমের তরকারি। কিন্তু কোনো কিছুতে একটুও নুন দিল না। এত রকমের সাজানো খাবার দেখে রাজা খুব খুশি হলেন। তাঁর জিভে এলো জল। রাজা খেতে বসলেন। খাওয়া শুরু করলেন। এটা নেন ওটা নেন। মুখে দিয়ে ফেলে দেন। সুন্দর রান্না তবে বেজায় বিস্বাদ। একটুও নুন নেই কোনো খাবারে। রাজা খুব বিরক্ত হলেন। নুন ছাড়া কি কিছু খাওয়া যায়? পারুল ছিল কাছেই। সে এগিয়ে এলো। বলল, “বাবা, আমাকে চিনতে পেরেছেন? আমার নাম পারুল। আপনার ছোট কন্যা। আপনি যাকে বনবাসে পাঠিয়েছিলেন।” রাজা নিজের ভুল বুঝতে পারলেন। নিজের আদরের মেয়েকে বুকে জরিয়ে ধরলেন। তারপর নুন দিয়ে রান্না করা হলো সব খাবার। রাজা মজা করে খেলেন। এবার ফেরার পালা। রাজা তাঁর ছোট কন্যা পারুল আর হাতিঘোড়া নিয়ে রওয়ানা হলেন। পারুল ফিরে আসায় রাজ্যে সবার মুখে হাসি ফুটল। রানি খুশি হলেন। শিমুল, বকুল তাদের বোন পারুলকে ফিরে পেল। রাজ্যে সুখের সীমা রইল না।
saving score / loading statistics ...