Text Practice Mode
নাচোল বিদ্রোহ ইলা মিত্র
created Oct 10th 2022, 17:43 by MD. JUBAER RAHMAN BABU
0
314 words
5 completed
0
Rating visible after 3 or more votes
00:00
নাচোল বিদ্রোহ ১৯৪৯-৫০ সালে বৃহত্তর রাজশাহী জেলার চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহকুমার অন্তর্গত নাচোল উপজেলার সাঁওতাল কৃষকদের বিদ্রোহ। সে সময়কার তেভাগা, নানকার এবং টঙ্ক আন্দোলনের মতোই নাচোল বিদ্রোহটিও সংগঠিত করেন কম্যুনিস্ট পার্টির কর্মীরা। তাঁরা বাংলায় সমাজ বিপ্লব সাধনের লক্ষ্যে নাচোলের সাঁওতাল কৃষকদের বৈপ্লবিক সংঘটনার একটি কৌশলগত জনগোষ্ঠি হিসেবে চিহ্নিত করেন। একই জমি বংশপরম্পরায় চাষাবাদ করা সত্ত্বেও অধিকাংশ সাঁওতালের ঐ জমির ওপর কখনও কোন স্বত্বাধিকার স্বীকৃত হয় নি। জোতদারগণ ফসলের মাধ্যমে খাজনা আদায় করত। স্থানীয় প্রথা অনুযায়ী ফসল কাটার সময় ক্ষেতে কর্মরত প্রতিটি সাঁওতাল কৃষক প্রতি কুড়ি আড়ি ফসল কাটার বিনিময়ে তার ভাগ অনুযায়ী তিন আড়ি ধান পেত, যা তাদের নিজেদের অথবা কামলাদের মাধ্যমে পরে মাড়াই করতে হতো। আধিয়ার (ভাগ চাষি) উপজাতসহ তাদের উৎপাদিত ফসলের অর্ধেক জোতদারদের দিতে হতো। কম্যুনিস্ট কর্মীরা এই শোষণ ও চাষিদের অধিকার সম্পর্কে তাদের সচেতন করে তোলেন।
১৯৪৯ সালের ডিসেম্বর এবং ১৯৫০ সালের প্রথমার্ধে নাচোল উপজেলার ঘাসুরা, চন্ডীপুর, কেন্দুয়া, রাউতারা, জগদাই, ধারোল, শ্যামপুরা এবং নাপিত পাড়ার মতো গ্রামের চাষিরা তাদের জোতদারদের খাজনা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। তাদের দাবি ছিল, প্রথা অনুযায়ী তিন আড়ি ধানের পরিবর্তে তাদেরকে শ্রম-ভাড়া বাবদ কুড়ি আড়িতে সাত আড়ি ধান প্রদানে জোতদারদের সম্মত হতে হবে এবং আধিয়ারদের মতো জমি চাষের জন্য তাদেরকে উৎপাদিত ফসলের দুই-তৃতীয়াংশ দিতে হবে। এ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ঘটে। বহু পুলিশ নিহত হয় এবং জোতদারদের ঘরবাড়ি লুট হয়। জমিদার ও জোতদারগণ পুলিশের সহায়তায় পাশবিক অত্যাচারের পন্থা গ্রহণ করে। এতে আন্দোলন আরও ব্যাপক আকার ধারণ করে। কৃষক সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে ইলা মিত্র, অনিমেষ লাহিড়ী, আজহার শেখ, বৃন্দাবন সাহা এবং আরও প্রায় কুড়িজন সংগ্রামী ব্যক্তি ছিলেন। তাঁদের সকলকেই গ্রেফতার করা হয় এবং বিচার করে দীর্ঘমেয়াদি দন্ড প্রদান করা হয়। পরবর্তীকালে ইলা মিত্রসহ অনেকে রাজনৈতিক কারণে মুক্তি লাভ করেন। ১৯৫০ সালের পূর্ববঙ্গ জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনএর আওতায় সাঁওতাল চাষিদের জমির ওপর অধিকার দেওয়া হয় এবং তারা অন্যান্য সাধারণ চাষিদের মতো প্রচলিত হারে নগদে খাজনা পরিশোধের অধিকার লাভ করে। দুর্ভাগ্যক্রমে ইতোমধ্যে বহু সাঁওতাল চাষি পুলিশের ধরপাকড় ও বিচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে নিজেদের গ্রাম ছেড়েভারতে চলে যায়।
১৯৪৯ সালের ডিসেম্বর এবং ১৯৫০ সালের প্রথমার্ধে নাচোল উপজেলার ঘাসুরা, চন্ডীপুর, কেন্দুয়া, রাউতারা, জগদাই, ধারোল, শ্যামপুরা এবং নাপিত পাড়ার মতো গ্রামের চাষিরা তাদের জোতদারদের খাজনা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। তাদের দাবি ছিল, প্রথা অনুযায়ী তিন আড়ি ধানের পরিবর্তে তাদেরকে শ্রম-ভাড়া বাবদ কুড়ি আড়িতে সাত আড়ি ধান প্রদানে জোতদারদের সম্মত হতে হবে এবং আধিয়ারদের মতো জমি চাষের জন্য তাদেরকে উৎপাদিত ফসলের দুই-তৃতীয়াংশ দিতে হবে। এ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ঘটে। বহু পুলিশ নিহত হয় এবং জোতদারদের ঘরবাড়ি লুট হয়। জমিদার ও জোতদারগণ পুলিশের সহায়তায় পাশবিক অত্যাচারের পন্থা গ্রহণ করে। এতে আন্দোলন আরও ব্যাপক আকার ধারণ করে। কৃষক সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে ইলা মিত্র, অনিমেষ লাহিড়ী, আজহার শেখ, বৃন্দাবন সাহা এবং আরও প্রায় কুড়িজন সংগ্রামী ব্যক্তি ছিলেন। তাঁদের সকলকেই গ্রেফতার করা হয় এবং বিচার করে দীর্ঘমেয়াদি দন্ড প্রদান করা হয়। পরবর্তীকালে ইলা মিত্রসহ অনেকে রাজনৈতিক কারণে মুক্তি লাভ করেন। ১৯৫০ সালের পূর্ববঙ্গ জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনএর আওতায় সাঁওতাল চাষিদের জমির ওপর অধিকার দেওয়া হয় এবং তারা অন্যান্য সাধারণ চাষিদের মতো প্রচলিত হারে নগদে খাজনা পরিশোধের অধিকার লাভ করে। দুর্ভাগ্যক্রমে ইতোমধ্যে বহু সাঁওতাল চাষি পুলিশের ধরপাকড় ও বিচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে নিজেদের গ্রাম ছেড়েভারতে চলে যায়।
saving score / loading statistics ...