eng
competition

Text Practice Mode

মেধাবীরা দেশ ছেড়ে যান না, যেতে বাধ্য করা হয়

created Jan 8th 2022, 09:42 by Covid19bd


0


Rating

245 words
13 completed
00:00
গতকাল শুক্রবার সকালে টেলিফোনে কথা হয় রংপুরের পীরগঞ্জের রেদোয়ান রনির সঙ্গে। জানুয়ারি তিনি রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়োগে বৈষম্য বন্ধ করার দাবিতে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে একক প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তিনি পাঁচ বছর আগে অর্থনীতিতে মাস্টার্স পাস করে শতাধিক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির আবেদন করে অনেক জায়গায় লিখিত মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও চাকরি পাননি।
পীরগঞ্জ উপজেলার মাদারগঞ্জ গ্রামের আবদুল লতিফ মণ্ডলের একমাত্র ছেলে রেদোয়ান রনি। তাঁর বাবা স্থানীয় মাদ্রাসায় চাকরি করতেন। ২০১২ সালে তিনি অবসরে যান। রেদোয়ানের তিন বোনের বিয়ে হয়ে গেছে; বৃদ্ধ মা-বাবাকে নিয়ে কষ্টে আছেন। রেদোয়ানের কাছে জানতে চাই, প্রেসক্লাবের সামনে কর্মসূচি পালনের পর প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কি না। তিনি বললেন, যোগাযোগ করেননি। কীভাবে চলছে তাঁদের পরিবার? তিনি জানালেন, মা তাঁর বাবার বাড়িতে যে সম্পত্তি পেয়েছেন, তা বিক্রি করে এত দিন চলেছেন। এখন সেই টাকাও শেষ।
রেদোয়ান রংপুর সরকারি কলেজ থেকে ২০১৬ সালে অর্থনীতিতে অনার্স পাস করেন। অনার্সে তিনি প্রথম শ্রেণি পেয়েছেন। এরপর ২০১৭ সালে রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে একই বিভাগ থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে মাস্টার্স পাস করেন। রেদোয়ানের আক্ষেপ, ‘মাস্টার্সের পর অন্তত ২০টি সরকারি দপ্তরে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। এরপরও কেন আমার চাকরি হবে না? সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর মৌখিক পরীক্ষায় ডাকা হয়। সেখানে ভাইভা বোর্ডে সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। তারপরও চাকরি হয়নি। কয়েক দিন আগে সমাজসেবা বিভাগে চাকরির লিখিত পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ডাকা হলো। ধারদেনা করে গেলাম, কিন্তু আগের দিন ঘোষণা দেওয়া হলো পরীক্ষা স্থগিত।’ এই হলো শিক্ষা মানবসম্পদের সূচকে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের বাস্তব চিত্র।

saving score / loading statistics ...