Text Practice Mode
শরৎ উদ্যাপন
created Sep 24th 2019, 08:12 by polas
2
247 words
20 completed
0
Rating visible after 3 or more votes
00:00
আমরা বেঁধেছি কাশের গুচ্ছ, আমরা গেঁথেছি শেফালিমালা--
নবীন ধানের মঞ্জরী দিয়ে সাজিয়ে এনেছি ডালা।
শরৎকাল যে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কতটা কাছের ছিল, সেটা বোঝা যায় তাঁর অজস্র লেখায়। প্রকৃতিকে নতুন করে দেখার বেলা যেন শরৎ। বাংলার লোকসংস্কৃতির সঙ্গেও দারুণভাবে জড়িয়ে আছে ষড়ঋতুর এই রানি। বঙালির দিনযাপনে শরৎ আসে নানা ভাবে, নানা আবেগ নিয়ে।
নদীর ধারে কাশফুল ফোটার যে বর্ণনা সাহিত্যে এসেছে, সে তো এই শরতের কল্যাণে। নীল আকাশে কে বাসালে সাদা মেঘের ভেলা। --এটাও তো শরতের জন্যই। একটানা বর্ষার পর, থেকে থেকে মেঘ-বৃষ্টির যে লুকোচুরি খেলা, তার তুলনা খুঁজতে যাওয়া বোকামি।
হঠাৎ করেই এই সময়ে মন কেমন করা এক বিকেলে বেরিয়ে পড়তে পারেন নদীর ধার বা খোলা প্রান্তরে ফোটা কাশবনে। গ্রামে তো বটেই, শহুরে জীবনেও এই কাশবন পাবেন হাত বাড়ালেই। যদি ঢাকা শহরের কথা বলি, তাহলে উত্তরার দিয়াবাড়ি, মিরপুর, আফতাবনগর বা কেরানীগঞ্জে গেলেই দেখা পাবেন কাশবনের। হয়তো সেখানে বকের সারি মিলবে না, তবে কাশবনে বৃষ্টি কিন্তু আসতেই পারে। তাই ফররুখ আহমদের ‘বৃষ্টির গান’ ছড়াটির কথা মাথায় রাখলেও ছাতা নিতে ভুলবেন না। তবে বৃষ্টির পর ভেজা মাথা মোছার জন্য একটা রুমাল বা তোয়ালে সঙ্গে রাখতে পারেন। কারণ, এই সময়ে বৃষ্টির পর ঝলমলে আকাশে যে রোদের দেখা পাবেন, সেটাও তো দেখার মতো। এই রোদের বর্ণনা দিতে গিয়ে আবার রবীন্দ্রনাথের কছে ফেরা, শরৎকালের রোদ নিয়ে তিনি বলেছেন, ’...এই প্রথম বর্ষা অপগমে প্রভাতের প্রকৃতি কী অনুপম প্রসন্ন মূর্তি ধারণ করে। রৌদ্র দেখিলে মনে হয় যেন প্রকৃতি কী এক নূতন উত্তাপের দ্বারা সোনাকে গলাইয়া বাষ্প করিয়া এত সূক্ষ্ণ করিয়া দিয়াছেন যে, সোনা আর নাই কেবল তাহার লাবণ্যের দ্বারা চারিদিক আচ্ছন্ন হইয়া গিয়াছে।’
নবীন ধানের মঞ্জরী দিয়ে সাজিয়ে এনেছি ডালা।
শরৎকাল যে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কতটা কাছের ছিল, সেটা বোঝা যায় তাঁর অজস্র লেখায়। প্রকৃতিকে নতুন করে দেখার বেলা যেন শরৎ। বাংলার লোকসংস্কৃতির সঙ্গেও দারুণভাবে জড়িয়ে আছে ষড়ঋতুর এই রানি। বঙালির দিনযাপনে শরৎ আসে নানা ভাবে, নানা আবেগ নিয়ে।
নদীর ধারে কাশফুল ফোটার যে বর্ণনা সাহিত্যে এসেছে, সে তো এই শরতের কল্যাণে। নীল আকাশে কে বাসালে সাদা মেঘের ভেলা। --এটাও তো শরতের জন্যই। একটানা বর্ষার পর, থেকে থেকে মেঘ-বৃষ্টির যে লুকোচুরি খেলা, তার তুলনা খুঁজতে যাওয়া বোকামি।
হঠাৎ করেই এই সময়ে মন কেমন করা এক বিকেলে বেরিয়ে পড়তে পারেন নদীর ধার বা খোলা প্রান্তরে ফোটা কাশবনে। গ্রামে তো বটেই, শহুরে জীবনেও এই কাশবন পাবেন হাত বাড়ালেই। যদি ঢাকা শহরের কথা বলি, তাহলে উত্তরার দিয়াবাড়ি, মিরপুর, আফতাবনগর বা কেরানীগঞ্জে গেলেই দেখা পাবেন কাশবনের। হয়তো সেখানে বকের সারি মিলবে না, তবে কাশবনে বৃষ্টি কিন্তু আসতেই পারে। তাই ফররুখ আহমদের ‘বৃষ্টির গান’ ছড়াটির কথা মাথায় রাখলেও ছাতা নিতে ভুলবেন না। তবে বৃষ্টির পর ভেজা মাথা মোছার জন্য একটা রুমাল বা তোয়ালে সঙ্গে রাখতে পারেন। কারণ, এই সময়ে বৃষ্টির পর ঝলমলে আকাশে যে রোদের দেখা পাবেন, সেটাও তো দেখার মতো। এই রোদের বর্ণনা দিতে গিয়ে আবার রবীন্দ্রনাথের কছে ফেরা, শরৎকালের রোদ নিয়ে তিনি বলেছেন, ’...এই প্রথম বর্ষা অপগমে প্রভাতের প্রকৃতি কী অনুপম প্রসন্ন মূর্তি ধারণ করে। রৌদ্র দেখিলে মনে হয় যেন প্রকৃতি কী এক নূতন উত্তাপের দ্বারা সোনাকে গলাইয়া বাষ্প করিয়া এত সূক্ষ্ণ করিয়া দিয়াছেন যে, সোনা আর নাই কেবল তাহার লাবণ্যের দ্বারা চারিদিক আচ্ছন্ন হইয়া গিয়াছে।’
saving score / loading statistics ...