Text Practice Mode
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
created Sep 7th 2019, 06:43 by Sujan Devnath
1
314 words
12 completed
3
Rating visible after 3 or more votes
00:00
দেশে বর্তমানে দুই ধরনের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগ পরিচালিত হয়ে আসছে ১৯৭৩ সনে প্রবর্তিত বিশ্ববিদ্যালয আইন দ্বারা। আমার জানামতে শুধুমাত্র বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৬১ সনে প্রণীত) ভিন্ন আইনের অধীনে পরিচালিত হয়ে আসছে। ১৯৭৩ সনের বিশ্ববিদ্যালয় আইন দ্বারা পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বর্তমান করুন অবস্থা সম্পর্কে বেশি লেখার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। অন্যান্য একাডেমিক অনিয়মের বাইরে দাঙ্গাহাঙ্গামা, গুম-খুন, ছিনতাই-রাহাজানি, অপহরণ, শিক্ষক হত্যা, ছাত্র হত্যা, ধর্ষণসহ সকল প্রকার নারীঘটিত অপরাধ, টেন্ডারবাজি, লুঠসহ এমন কোনো জঘণ্য সামাজিক অপরাধ নেই যা এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে, এবং ক্যাম্পাসের বাইরে ছাত্র-ছাত্রী কর্তৃক সংঘটিত হয়ে আসছে না। অতি সম্প্রতি খবরে প্রকাশ, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বেশ কিছু সিনিয়র অফিসার দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন। মিডিয়ার বদান্যতার কারণে অনেক খবর বাইরের লোকদের গোচরে আসে না। তবে সচেতন ব্যক্তিমাত্ররই এ বিষয়ে কমবেশি জানা আছে। এমনকি এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিবেকসম্পন্ন শিক্ষক বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে চিন্তা-ভাবনা করছেন। বর্তমান আলোচনার খাতিরে সংক্ষেপে শুধু এতোটুকু বলা যায় যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জাতীয় রাজনীতির এপেনডিক্স হিসেবে কাজ করছে। সর্বপ্রকার সন্ত্রাস, এক শ্রেণীর শিক্ষকদের কর্মবিমুখতা, শ্রেণীকক্ষে ছাত্র পড়ানোর চাইতে জাতীয় রাজনীতি, কনসালটেন্সি ও পার্টটাইম কাজে অধিকতর আগ্রহ, সময়মতো পরীক্ষার ফল প্রকাশে ব্যর্থতা, অপরকে কনুই মেরে উপরের পদে উঠা, সকল ক্ষেত্রে মান নিয়ন্ত্রণ ও মান যাঁচাইয়ের অভাব, দুর্নীতি ইত্যাদি সবকিছু মিলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আজ ধ্বংসপ্রায়। সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর অবস্থা একই রকম। প্রফেসরের বুকে পিস্তল ধরে ডাক্তারি ডিগ্রি আদায় করা হচ্ছে। অনেকে এদেরকে এম বি বি এস (পিস্তল) বলে থাকে। উল্লেখ্য যে, মধ্যপ্রচ্যের গুটিকয়েক মুসলিম দেশ ছাড়া পৃথিবীর আর কেউ আমাদের দেশের মেডিকেল ডিগ্রিকে স্বীকৃতি দেয় না। যারফলে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের মেডিকেল গ্রাজুয়েটরা পৃথিবীর অন্যান্য দেশে চাকুরি পায় না। যেসব রাজনীতিবিদ ও প্রফেসর পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষভাবে এসব মেডিকেল ডিগ্রি প্রদানে সহায়তা করেন, তাঁরা ভুলে গেছেন যে, এসব এম বি বি এস (পিস্তল) ডিগ্রিধারী ডাক্তারের ছুড়ির নিচে তাঁকে বা তাঁর আপন জনকে একদিন না একদিন পড়তে হতে পারে। এজন্যই বোধ হয় আমাদের দেশের ভি আই পি’রা, যার মধ্যে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিজেও রয়েছেন, সামান্য চিকিৎৎসার জন্য সিংগাপুর, ব্যাংকক ছুটে যান।
saving score / loading statistics ...